পদ্মায় নৌকায় ডুবায়: আরও দু'জনের লাশ পাওয়া গেছে
গতকাল সন্ধ্যায় রাজশাহীর শ্রীরামপুরে একটি ব্রাইডাল পার্টি বহনকারী দুটি নৌকোকে ক্যাপসাইজ করে আরও দু'জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন মনি বেগম (৪৮) ও একলাস ওরফে রতন, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদাত হোসেন ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় মারা যাওয়া পাঁচ বছরের কিশোরী মরিয়মের দাদি হলেন মনি বেগম, একলাস কনের চাচাত ভাই।
গতকাল সন্ধ্যা ৭:০০টা নাগাদ পবা উপজেলার চর খানপুর থেকে শ্রীরামপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পরপরই সদ্য বিবাহিত দম্পতি ও তাদের আত্মীয়দের বহনকারী তিনটি ইঞ্জিন বোটের মধ্যে দুটি পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
২০২০ সালের ৬ই মার্চ শুক্রবার পদ্মা নদীতে একটি দাম্পত্য পার্টি বহনকারী দুটি ইঞ্জিন নৌকা ডুবে যাওয়ায় পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা আজ শ্রীরামপুর ঘাটে কাঁদতে দেখা গেছে। ছবি: তারকা
ইউএনও জানিয়েছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আজ সকালে চারঘাট এলাকা থেকে মনি বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুপুর দেড়টার দিকে একরামের লাশ শ্রীরামপুরে পাওয়া গেছে বলে ইউএনও জানিয়েছে।
সুইটি আক্তার পূর্ণিমা (১৮) এবং আসাদুজ্জামান রুমন (২২) সহ দম্পতি সহ মোট ৪১ জন যাত্রী নৌকায় করে উঠেছিলেন।
ক্যাপসাইজ হওয়ার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা পাঁচ জনকে উদ্ধার করেন এবং আসাদুজ্জামানসহ ২৭জন নৌকোচালক ও স্থানীয়দের সহায়তায় উপকূলে সাঁতার কাটতে সক্ষম হন। কনে সহ ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সাদাত জানান, নৌবাহিনী, বিআইডাব্লুটিএ এবং রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন এই তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রবল বাতাসের কারণে বর ও কনে বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যেতে শুরু করে। ডুবে যাওয়া নৌকোয় যাত্রীরা তার উপর দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লে ওভারলোডিংয়ের কারণে অন্যান্য নৌকা ডুবে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেঁচে থাকাদের বরাত দিয়ে।
আসাদুজ্জামান চর খানপুরে নিজ বাড়িতে বিয়ের সংবর্ধনা শেষে শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
0 Please Share a Your Opinion.: