পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, ২৬ শে এপ্রিল তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্টে পজেটিভ পাওয়া গেছে, তার পর থেকে তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শনিবার (৯ মে) সন্ধ্যা :৭ টা ১০ মিনিটে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কনস্টেবল জালাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার উরাহাট গ্রামে। তিনি তাঁর স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্র, পাশাপাশি অনেক আত্মীয় সজন রেখে গেছেন । পুলিশি ব্যবস্থাপনায় নিহতের মরদেহ মৃতের গ্রামের বাড়িতে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাশ পরিবারের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
আইজিপির শোক
কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক প্রকাশ করেছেন। বেনজীর আহমেদ। এক শোকবার্তায় তিনি বলেছিলেন যে জালাল উদ্দিন খোকা নামে একজন সাহসী পুলিশ করোনার প্রতিরোধে জনগণের সেবা করার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজের জীবন দিয়ে জনসেবা ও ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি এই গর্বিত পুলিশ সদস্যকে শ্রদ্ধা জানাই। আইজিপি জালাল উদ্দিন খোকার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এর সাথে, করোনার যুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের সাত সদস্য মারা গেছে । ছয়জন হলেন: ডিএমপি এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায় (৪৮),
কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০), এএসআই আবদুল খালেক (৩৮), ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪৩),
পিওএম এসআই সুলতানুল আরেফিন ও এসবি এসআই নাজির উদ্দিন (৫৫)।
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ
0 Please Share a Your Opinion.: