এই নতুন আইনটি প্রবাসীদের চলাফেরার স্বাধীনতা, আবাসিক ভিসা প্রদান ও স্বজনদের ভিজিট ভিসা প্রদানের অধিকার ও সুযোগকে অধিকতর সহজতর করবে । এতে করে সৌদি আরবের অর্থনীতিও আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ। সেই ১৩৭১ সাল থেকে সৌদি আরবে কার্যকর হওয়া স্পনসরশিপ সিস্টেমটি প্রবাসী শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তার মধ্যে সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিস্টেমের অধীনে, শ্রমিক সৌদিতে আসার পরে চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে তার স্পনসরের ( কাফালার) হয়ে কাজ করার জন্য বাধ্য থাকে। কাফালা পরিবর্তন না করে অন্য কোন স্থানে সে কাজ নিতে পারত না। স্পনসরশিপ ব্যবস্থায় মানবাধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি উভয় পক্ষের আচরণগত এবং আর্থিক অধিকারকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বহু সৌদি নিয়োগকর্তা সিস্টেমের অনেক বিধানের অপব্যবহার করেছিলেন, যার ফলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি এই সিস্টেমটি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই । কাফালা প্রথাতে এমন অনেক নেতীবাচক দিক ছিল, যার ফলে প্রবাসী বেকারত্বের হার বাড়ছিল এবং বৈধ প্রবাসী অবৈধ হয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছিল। স্পনসরশিপ পদ্ধতির সবচে বড় অন্ধকার দিক হল এটি ভিসা বাণিজ্যের জন্য কালোবাজারীর সমৃদ্ধি ঘটাচ্ছিল । অন্যদিকে, স্পনসরশিপ সিস্টেমটি বিলুপ্ত করা হলে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মাঝে একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থার তৈরি হবে। যা সৌদি শ্রমবাজারে বৈপ্লবিক বৈচিত্র্যতা নিয়ে আসবে। এমন কি বিভিন্ন দেশের দক্ষপেশাজীবি যারা বর্তমান সিস্টেমে সৌদি আরবে কাজ করতে আগ্রহী নন তারাও আকৃষ্ট হবেন । বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যন্ত দক্ষ এবং যোগ্যতাধারী প্রবাসীরা কাজ করতে এলে সৌদি আরবের সার্বিক কাজের পরিবেশের ব্যাপক উন্নতি সাধন হবে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
সর্বশেষ
0 Please Share a Your Opinion.: